Wednesday, January 30, 2019

গলায় আটকে যাওয়া কাঁটা নামানোর কিছু সহজ উপায়!


গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে সবার মনে অসম্ভব অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। যা খুবই পীড়াদায়ক। তাই গলায় আটকা মাছের কাঁটা নামানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞাত থাকা দরকার। আসুন জেনে নিই গলা থেকে মাছের কাঁটা সহজে নামানোর ৮টি উপায় :

গলায় আটকা কাঁটা নামানোর আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে কোকাকোলা। গলায় কাঁটা আটকার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস কোক পান করলে তা নরম হয়ে নেমে যায়।

১. সাদা ভাত : গলায় আটকা মাছের কাঁটা সাদা ভাত খেয়ে খুব সহজে নামানো যায়। এ জন্য আপনাকে ভাতকে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে গিলে ফেলতে হবে। এতে সহজে গলায় আটকা মাছের কাঁটা নেমে যাবে। মনে রাখবেন, শুধু ভাত খেলে কিন্তু কাঁটা নামবে না।

২. হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা : গলায় আটকা মাছের কাঁটা নামানোর সর্বাধিক কার্যকরী চিকিৎসা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি। এ জন্য আপনাকে নিকটস্থ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

৩. পানি পান করুন : গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে পানি পান করুন। পারলে হালকা গরম পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে পান করুন। এতে গলায় আটকা মাছের কাঁটা নরম হয়ে নেমে যায়।

৪. কলা খান : গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে পারলে চটজলদি একটি কলা খান। কলা খেতে খেতে কখন যে কাঁটা নেমে যাবে তা আপনি টেরও পাবেন না।

৫. লেবু খান : গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে এক টুকরা লেবু নিন। তাতে একটু লবণ মাখিয়ে চুষে চুষে এর রস খান। দেখবেন কাঁটা নরম হয়ে নিমিষেই নেমে গেছে।

৬. অলিভ ওয়েল খান : গলায় কাঁটা বিঁধেছে? তাহলে মোটেই দেরি না করে একটু অলিভ অয়েল খান। এতে কাঁটা পিছলে গলা থেকে নেমে যাবে।

৭. ভিনেগার খান : পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে গলায় আটকা মাছের কাঁটা খুব সহজে নেমে যায়। এটি ঠিক লেবুর মতো কাজ করে।

৮. কোকাকোলা পান করুন : গলায় আটকা কাঁটা নামানোর আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে কোকাকোলা। গলায় কাঁটা আটকার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস কোক পান করলে তা নরম হয়ে নেমে যায়। এ ছাড়া শুকনো মুড়ি খেলেও এর কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

চিরতরে বাড়ি থেকে দূর করুন ইদুর, তেলাপোকা, মাছি, ছারপোকা, টিকটিকি ও মশা!


নানা কারণে ঘর বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়। আর একবার কোন পোকা ঘরে বসবাস শুরু করলে তা আর
সহজে যেতে চায় না। বিশেষ করে মশা, তেলাপোকা, ছারপোকা ইত্যাদি। আর বেশীরভাগ বাড়িতেই তো একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর এবং টিকটিকি। কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং ঘরোয়া উপায়ে এদের দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এসব উপদ্রব থেকে রক্ষার কিছু উপায়।

১। ইঁদুর
ঘর বাড়ির খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল ইঁদুর। এই ইঁদুর দূর করবে পেপারমেণ্ট। ইঁদুর পেপারমেণ্টের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। একটি তুলোর বলে পেপারমেন্ট অয়েল ডুবিয়ে নিন। এবার তুলোর বলটি ইদুরের বাসার কাছে রেখে দিন। পেপারমেণ্টের গন্ধ শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে তাদের নিঃশ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিবে এবং তারা মারা যাবে।

২। তেলাপোকা
তেলাপোকা নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া ভার! রান্নার মশলা দিয়ে দূর করুন এই তেলাপোকা। কিভাবে? গোলমরিচ গুঁড়া, পেঁয়াজ, রসূন এবং পানি দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। পেষ্ট কিছুটা তরল করে তৈরি করবেন। এবার এটি স্প্রের বোতলে ভরে রাখুন। যেখানে তেলাপোকা দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। দেখবেন তেলাপোকা পালিয়ে গেছে। শুধু তেলাপোকা না অন্যান্য পোকা মাকড়ের হাত থেকে আপনার ঘরকে রক্ষা করবে।

৩। মাছি
মাছি তাড়ানোর অনেক উপায় আছে। কিন্তু সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল তুলসী পাতা। বারান্দায় বা জানলার কাছে একটি তুলসী গাছ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আসছে না। এছাড়া বিভিন্ন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার এবং ইউক্যালিপ্টাস অয়েল মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকর।

৪। ছারপোকা
ছারপোকা দূর করতে পেঁয়াজের রস অনেক বেশি কার্যকরী। একটি স্প্রে বোতলে পেঁয়াজের রস ভরে নিন। তারপর এটি স্প্রে করে দিন বিছানা, সোফার চারপাশে যেখানে ছারপোকা রয়েছে।

৫। টিকটিকি
ঘরের আরেকটি উপদ্রব হল টিকটিকি। এই টিকটিকি হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘরে কোণে বিশেষ করে ভেন্টিলেটরের কাছে ডিমের খালি খোসা ঝুলিয়ে রাখুন। ডিমের গন্ধ টিকটিকিকে দূরে রাখবে। তবে সেদ্ধ নয়, অবশ্যই কাঁচা ডিমের খোসা ঝোলাবেন। এছাড়াও ঘরে ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। টিকটিকি ঘরের ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না।

৬। মশা
মশা তাড়ানোর জন্য কত রকমের স্প্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ আর কার্যকরী উপায় হল নিমের তেলের ব্যবহার। প্রতিদিন শরীরে নিমের তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে মশা থেকে দূরে রাখবে এবং তার সাথে সাথে ত্বকও সুস্থ এবং ভালো রাখবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 24, 2019

পরিবেশবান্ধব মশা প্রতিরোধ পদ্ধতি!


শীত কিংবা গরম, সবসময়েই কম-বেশি মশার উপদ্রব পোহাতে হয়। মশার উপদ্রব বেশি হলে কয়েল অথবা এরোসল স্প্রে-ই ভরসা। এখন আবার মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই ব্যটেও যে খুব একটা লাভ হয় তা কিন্তু না। এদিকে কয়েলে রয়েছে নানান রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। তারপরও আমরা প্রতিদিন জ্বালিয়ে যাচ্ছি এই ভয়াবহ ক্ষতিকর কয়েল।

প্রতিনিয়ত ব্যাট, এ্যারোসল আর কয়েলের পিছে ছুটতে ছুটতে কতোটা ব্যয় হচ্ছে কখনো ভেবে দেখেছেন কি? আজই একটু হিসেবটা কষে দেখুন সারাবছর এই মশার পিছে কতো টাকা ঢালছেন। অথচ একটা প্রক্রিয়া জানা থাকলে একদম অল্প খরচে সারাবছর আপনি রেহাই পেতে পারেন এই বিরক্তিকর মশার উপদ্রব থেকে।

মশা মারার এই প্রক্রিয়া হলো:

→ ২ লিটারের একটি কোকাকোলা বা সেভেনআপের প্লাষ্টিকের বোতল নিন। এবার একটি চাকু দিয়ে বোতলটির উপর থেকে কয়েক ইঞ্চি নিচে মাঝামাঝিতে, অর্থাৎ সরু থেকে মোটা হতে যাওয়ার শুরুটায় কেটে উপরের অংশটুকু আলাদা করে রাখুন।
→ এখন নিচের অংশে একটা কাপের তিন ভাগের দুই ভাগ পরিমাণ খোলা চিনি বা ব্রাউন সুগার নিন।
→ এরপর এতে ফুটানো পানি এক কাপ ও এক চামচের তিন ভাগের দুই ভাগ পরিমাণ ইস্ট নিন।
→ এবার কেটে রাখা বোতলের উপরের অংশটি থেকে বোতলের ছিপিটা ফেলে দিয়ে উপরের সরু অংশটুকু নিচের অংশটিতে যতোটুকু ঢুকানো যায় চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে নিন।
→ এবার প্রয়োজনমতো টেপ পেঁচিয়ে বোতলের দুটি অংশকে জোড়া লাগিয়ে নিন। 
→ এখন এই বোতলটি বাসার যেকোন এক কোণে রেখে দিন। এই প্রক্রিয়ার ফলে আপনার বাসার সব মশা জমা হবে এই বোতলের খোলা অংশে। টানা বছর খানিক আপনার বাসা মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাবে এই প্রক্রিয়াটিতে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

Preface to Snippets!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "টুকিটাকি" বিভাগে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন সমস্যার স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী সমাধান জানতে পারবেন।